আল কোরআনে বর্নিত সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব তথা ৬৫ নং সূরা:১২নং আয়াতের, “সপ্তাকাশ ও পৃথিবীও সেই পরিমাণে” ।
- islamipedia1122
- Feb 28, 2019
- 2 min read

আল কোরআনে বর্নিত সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব তথা ৬৫ নং সূরা:১২নং আয়াতের, “সপ্তাকাশ ও পৃথিবীও সেই পরিমাণে” । এই প্রসঙ্গে বর্তমান সর্বশেষ বিজ্ঞান কি বলে দেখা যাক। ===
“আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।”( সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব -৬৫ নং সূরা:১২নং আয়াত)। ……………..
এই আয়াতে সপ্তাকাশ কে সাতটি heaven হিসাবে বর্নিত হয়েছে যা মূলত বিশ্বের Celestial bodies কেই বোঝানো হয়েছে।
Astronomers গন এই Celestial bodies কে সাতটি regions এ ভাগ করেছেন।যেমন:
(১) প্রথম region এ রয়েছে সূর্য ও terrestrial planets, Mercury,Venus এবং পৃথিবী।এই ব্যাসার্ধের পরিমাপ হচ্ছে ৮ আলোক মিনিট ।
(২)দ্বিতিয় স্তর এ রয়েছে Solar system সহ outer planets, Mars, Jupiter, Asteroids, Saturn, Uranus, Neptune, Pluto। পরিসর ৫ আলোক ঘন্টা তথা লাইট সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি মাইল বেগে ৫ ঘন্টায় যত টুকু পরিমান দূরত্বে যাবে।
(৩) তৃতীয় Region এ রয়েছে সূর্যের কিছু ২০ টি প্রতিবেশী যার আয়তন ২০ আলোক বছর। (৪) চতুর্থ regionএ Milky Way galaxy, আজ পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিলিয়ন গ্যালিক্সর কথা জানা যায়। আমাদের Milky Way galaxy ঘিরে রয়েছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন তারা। যার পরিসীমা হচ্ছে ৫০,০০০ আলোক বর্ষ ব্যাপি।
(৫) পন্চম region ব্যাপি রয়েছে পার্শ্ববর্তি galaxy সমূহের ২০ টি loosely bound cluster সমূহ। যাকে বলা হয় local group of galaxies । এটা ব্যাপ্তি ২ মলিনিয়ন আলোক বর্ষ অবধি।
(৬)এই অন্চলে রয়েছে local group of galaxies এর cluster যাকে local super-cluster বলা হয়। এই super- cluster এর বেশীর ভাগই empty space। এটির ব্যাসার্ধ ৭৫ মিলিয়ন আলোক বর্ষ।
(৭) এই region টি বর্তমান বিজ্ঞান জগতের পরিচিত বিশ্বের last limit। এখানে সকল galaxies এর সব super clusters রয়েছে। এখানে Quasars রয়েছে। এর Celestial bodies এর ব্যাপ্তি ২০ বিলিয়ন আলোক বর্ষেরও উর্ধ্বে।
আমি Celestial এর বাংলা প্রতিশব্দ স্বর্গীয় পাচ্ছি । কি অবস্হা !!
আরো কিছু দারুন তথ্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি চলেন।
দেখা যায় এই celestial objects গুলির ৭টি ধরন রয়েছে। (১)Stars, (২)Planets, (৩)Satellites,(৪)Comets, (৫) Nebulae, (৬) Galaxies, (৭) Quasars।
আবার দেখা যায় ৭ রকমের Stars আছে। Brown dwarf stars, Main sequence stars, Red-Giant stars, Pulsating stars, White dwarf stars, Neutron stars এবং Black holes।
Black holes নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে।
এখানে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে উল্লেখ করছেন তিনি বিশ্বকে সাতটি স্তরে সৃষ্টি করেছেন এবং ঠিক পৃধিবীকেও সাতটি স্তরে সৃষ্টি করেছেন। বিশ্বকে কে সাতটি স্তরে আল্লাহর সৃষ্টি বিষয় আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান আবিষ্কারে কি পাওয়া যায় তা কিছুটা উপরে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন পৃথিবীর সাতটি স্তর বর্তমান বিজ্ঞানের চোখে কি তা কিছুটা বলার চেষ্টা করা যেতে পারে। আমি স্তর গুলি বা বৈজ্ঞানিক শব্দ গুলি ইংরাজীতেই উল্লেখ করে চলেছি।
পৃথিবীকে মূলত চারটি স্তরে প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা ভাগ করেছে। ১) Crust , Mantle, ৩) Core।
আবার আরেকটি অংশ হচ্ছে Atmosphere হচ্ছে গ্যাসীয় মোড়ক (Envelope) যা ধরনীর মধ্যাকর্ষনের মাধ্যেমে সবকিছুর সাথে যুক্ত হয়ে রয়েছে।
Mantle কে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। (১) Lithosphere, (২)Aesthenosphere, (৩)Mesosphere ।
Core হচ্ছে ২ ভাগে বিভক্ত। (১)Outer layer,(২)Inner layer।
তাহলে দেখা যায় ধরনী সাত ভাগে বিভক্ত যথা:
(১)Atmosphere, (২) Crust, (৩) Lithosphere, (৪)Aesthenosphere, (৫)Mesosphere , (৬)Outer layer,(৭)Inner layer।
এই প্রতিটি Layer কে আমি বিস্তারিত ভাবে বুঝাইয়া দিতে পারবো কিন্তু এখানে এটাই যথেষ্ট কোরআনের ঐ দাবি অনুযায়ি ।
“It is Allah who has created seven heavens and of the earth, the like of them. [His] command descends among them so you may know that Allah is over all things competent and that Allah has encompassed all things in knowledge.” (65:12).
Comentarios