কোরান ও বর্তমান বিজ্ঞানের আলোকে ১দিনের হিসাব সেই আলোকে ৬ দিনের (স্তর) অর্থ।
- islamipedia1122
- Feb 22, 2019
- 3 min read
Updated: Feb 22, 2019

কোরআনের আলোকে বিশ্ব সৃষ্টির হিসাব
******** ===============
“আপনার পালনকর্তা আল্লাহ, যিনি ছয় দিনে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এবং তারপর তিনি সিংহাসনে বসেছেন ... (কোরান, ৭:৫৪)”
………..
কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে সাদৃশ্যের একটি উদাহরণ হচ্ছে মহাবিশ্বের যুগ। কসম্মোলজিস্টরা মহাবিশ্বের বয়স ১৬-১৭ বিলিয়ন বছর বলে অনুমান করে। কুরআন বলছে যে সমগ্র মহাবিশ্ব ছয় দিনে তৈরি করা হয়েছে। অন্য কথায়, কুরআনের বলছে ছয় দিনের মধ্যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল, এবং আজ অবধি যে সময় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করা হয়েছে সেই গননানুযায়ী তথা-১৭ বিলিয়ন বছর এর মাঝে কোন দ্বন্দ দেখা যায় না।
………….
১৯১৫ সালে আইনস্টাইন প্রস্তাব করেছিলেন যে, সময় প্রকৃতপক্ষে আপেক্ষিক ,সময় মূলত স্থান অনুযায়ী ও কোন কিছুর ভ্রমণের গতি এবং সেই মুহূর্তে তার উপর মাধ্যাকর্ষণের শক্তির প্রভাবের উপর নির্ভর করে। সময়কালের এই পার্থক্যগুলির উপর নির্ভর করে বলা যায় কোরআনের সাতটি ভিন্ন আয়াতে মহাবিশ্বের সময়কালের যে বর্ননা করেছে তা বিজ্ঞানীদের অনুমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
…………
কুরআনে উল্লিখিত ছয় দিনের সময়সীমাকে ছয় দফা হিসাবে বুজতে হবে। সময় বলতে আমরা ধরে নেই , একটি "দিন" অর্থাৎ আমাদের কাছে ২৪ ঘন্টা বোঝায় । কিন্তু মহাবিশ্বের অন্য কোথাও, একটি "দিন" ২৪ ঘন্টা না বরং এর চাইতে অনেক বেশি হতে পারে । প্রকৃতপক্ষে, কোরানের ঐ আয়াতসমূহে দিনের আরবি শব্দ ‘ আয়েমীন’ এবং ছয় দিন বলতে “সিত্তটি আয়েমীনীন” শব্দদ্বয় ব্যবহার করা হয়েছে যার আক্ষরিক অর্থ (কোরান ৩২: ৪, ১০:৩, ১১:৭ , ২৫:৫৯ , ৫৭:৪, ৫০:৩৮ অনুযায়ী শুধুমাত্র "দিন",না বরং age, period, মুহূর্ত, স্তর বোঝায়"।
…………….
মহাবিশ্বের প্রথম স্তরে , passage of time বর্তমান সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গতি সমপন্ন ছিল। এই কারণটি হল যে, বিগ ব্যাং এর মুহূর্তে, আমাদের মহাবিশ্ব একটি খুব ছোট সংকুচিত বিন্দু থেকে সমপ্রসারিত হয়েছে।
……..
বিশ্বের সম্প্রসারণ এবং এই সম্প্রসারণ গতির volume বিস্ফোরনের মুহূর্ত থেকে বিশ্বকে millions of light years ব্যাপ্তি নিয়ে গেছে। এবং বিস্ফোরনের মুহূর্ত থেকে সাথে সাথে space এর যে বিস্তার ঘটেছে তার সাথে বহুমুখি universal time ওতপ্রোত ভাবে জরিত। বিগব্যাং এর মুহুর্তের energy, flow of time কে one million million সময়ে নিম্নগতি করে ফেলে।অর্থাৎ আমরা এখন যে সময়ের সাথে পরিচিত বিগব্যং কালীন অবস্হায় এই সময়সীমা million million times বেশী ছিল। অন্য কথায় বর্তমান দুনিয়ার মিলিয়ন মিলিয়ন মিনিটের সময় সীমা বিগব্যং এর এক মিনিটের universal time।
……………..
এই অবস্হায় আমরা relativity of time অনুযায়ী six-day period of time কে গননা করলে দেখা যায় ফল দাঁড়ায় ছয় মিলিয়ন মিলিয়ন তথা ছয় ট্রিলিয়ন দিন। কারন universal time পৃথিবীর সময়ের চেয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন সময় বেশী দ্রুত। বছর হিসাব করলে ৬ ট্রিলিয়ন দিন দাঁড়ায় প্রায় ১৬.৪২৭ বিলিয়ন বছর। বিশ্বের জীবনকাল বর্তমানে যে ভাবে গননা করে হয় সেই অনুযায়ী এটাই দাঁড়ায়।
6,000,000,000,000 days/365.25 = 16.427104723 billion years
………….
প্রথম স্তর
********
2nd Part
“আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।” (২:২৫৫)
……
অপরদিকে আমরা যেভাবে time কে এখন বোঝার চেষ্টা করছি তাতে ছয় দিনের সৃষ্টির সমীকরনটি ভিন্ন মাত্রার সময় জ্ঞান প্রদান করে। কারন passage of time এর গতি বিশ্বের সম্প্রসারেনর আনুপাতিক হারে কমতে থাকে। বিগব্যং এর মুহূর্ত হতে যদি বিশ্বের আকার এ পর্যন্ত দ্বীগুন হয় তাহলে বলতে হয় passage of time এখন আধলা হয়ে গেছে। অর্থাৎ বিশ্বের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু যে গতিতে বিশ্ব দ্বীগুন হয়েছে সেই গতি ক্রমান্নয়ে কমে যাচ্ছে। এই রেট অব এক্সপান্শন ই আমাদের বর্তমানে শেখানো হচ্ছে। যেটাকে বলে, The Fundamentals of Physical Cosmology। যখন আমরা পৃথিবীর সময় অনুপাতে বিশ্ব সৃষ্টির সময়কালকে নির্ধারণ করতে যাব তখন তার নিম্নে উল্লেখিত ফল হবে:
………..
১/ বিগব্যং হবার সাথে সাথে সময়ের সৃষ্টি।ধরে নেই প্রথম স্তর ২৪ ঘন্টা স্হায়ী ছিল । Universal এই ২৪ ঘন্টা বর্তমান পৃথিবীর ৮ বিলিয়ন বছরের সমান।
২/ দ্বীতীয় দিন বা স্তর ২৪ ঘন্টা । নিয়মানুযায়ী এই সময়কাল পূর্বের সময় কালের অর্ধেক তথা বর্তমান পৃথিবীর ৪ বিলিয়ন বছর ।
৩/ দুই বিলিয়ন বছর।
৪/ এক বিলিয়ন।
৫/ ৫০০ মিলিয়ন।
৬/ ২৫০ মিলিয়ন।
………..
তাহলে ছয় স্তরের সময় কাল পৃথিবির বর্তমান সময়কাল অনুযায়ী হচ্ছে ১৫ বিলিয়ন ৭৫০ মিলিয়ন বছর।
……………
তো বর্তমান বিজ্ঞান কি বলে?
“So it seems safe to estimate that the age of the Universe is at least 15 billion years old, but probably not more than 20 billion years old.” অর্থাৎ সেজন্য গননায় বিশ্ব সৃষ্টির বয়স কে ১৫ বিলিয়ন বছর ধরাই শ্রেয় এবং সম্ভত ২০ বিলিয়ন বছরের বেশি নয়।
Comments