top of page

মঙ্গল শোভা যাত্রা।

  • Writer: islamipedia1122
    islamipedia1122
  • Apr 17, 2019
  • 2 min read


মঙ্গল শোভা যাত্রা। ====


”মঙ্গল’ শব্দটি পুর্তিপূজকদের কাছে এক দেবতা তথা ‘মঙ্গলদেবতা’র নাম। মঙ্গল হল যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা। হিন্দু ধর্মে মঙ্গলশব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন- মধ্যযুগে হিন্দুধর্মীয় আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতে হয় অমঙ্গল; যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলকাব্য । মঙ্গলকাব্য আবার তিন শাখা- মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল।


এছাড়া-

হিন্দুরা পূজার সময় যে পাত্র ব্যবহার করে তাকে মঙ্গলঘট বলে। বিশেষ পূজার জন্য যে প্রদীপ ব্যবহার করে তাকে মঙ্গল প্রদীপ বলে।

পূজার সময় মঙ্গলপ্রদীপ ঘুড়িয়ে যে আলোর বিচ্চুরণ করা হয় তাকে মঙ্গল আরতি বলে।

হিন্দু ধর্মে একটা পূজাই আছে যার নাম মঙ্গলপূজা হিন্দু বিয়ের প্রথম আচারের নাম হচ্ছে মঙ্গলাচরন হিন্দুদের বিয়ের সময় সূর্য্যোদয়ের আগে বর ও কন্যাকে চিড়ে ও দৈ খাওয়ানো হয় তাকে দধিমঙ্গল বলে মঙ্গলশোভাযাত্রাও তেমনি হিন্দুদের একটি ধর্মীয় যাত্রা। বিশেষ করে জন্মাষ্টমীর সময় হিন্দুরা মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করে এটা প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। ……

আর্যদের আগমনের অনেক আগে থেকেই বাংলায় যেসব লৌকিক দেবতার পূজা হতো কিংবা ব্রত-পাঁচালির অনুষ্ঠান হতো,তাতে মাঝ উঠোনে আল্পনা এঁকে আসন সাজিয়ে শুরু হতো অনুষ্ঠান। আলপনা /বিশেষ্য পদ/ চাউলের গোলা দিয়া মন্দির মেঝে পিঁড়ি গৃহ দেওয়ালে অঙ্কিত মাঙ্গল্য চিত্র।

একজন মুসলমান জায়নামাজে পা রাখলে তার যে অনুভূতি হবে একজন হিন্দুর আল্পনার উপর হেঁটে গেল তার ধর্মীয় অনুভূতির সৃষ্টি হবে। মসজিদ কিংবা মন্দির যেরূপ কেবল Architecture নয় তদরুপ আল্পনা কেবল চিত্রশীল্প নয়।

…….

মাওলানা, খতীব যেমন ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত আলেমদের ইসলামী শাস্ত্রের উপাধী তেমন আচার্য, উপাচার্য হিন্দু শাস্ত্র বিদ্যার উপাধি।

………

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা বড় বট গাছকে অক্ষয় বট নামে অভিহিত করা হয়। সকল দেশের সনাতন ধর্মে বড় গাছের পূজা করার রীতি লক্ষ্য করা যায়। ভারতবর্ষে বটগাছ ছাড়াও তুলসি, অশ্বত্থ গাছের পূজার চল আছে।


হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে, দশরথের প্রেতাত্না সীতাদেবীর হাত থেকে চালের অভাবে বালুকার পিণ্ড গ্রহণ করেছিলেন। এর সাক্ষী ছিল ফল্গুনদী, তুলসী গাছ ও অক্ষয়বট । রামচন্দ্র ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে যখন ফল্গুনদী ও তুলসী গাছকে প্রশ্ন করেন, তখন তারা মিথ্যা কথা বলে। ফলে সীতাদেবী তাদের অভিশাপ দেন। কিন্তু অক্ষয়বট সত্য কথা বলায়, সীতাদেবী তাকে আশীর্বাদ করেন ।

কুরুক্ষেত্রের প্রাঙ্গনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক অর্জুনকে গীতা দানের সাক্ষী আজও হয়ে আছে সেখানে অক্ষয় বট।


সনাতন হিন্দু ধর্মমতে তীর্থের বৃহৎ বটগাছে জল দিলে এবং পূজা করলে মনষ্কামনা পূর্ণ হয়।”

তাই বলতে হয় মঙ্গলশোভা যাত্রা একটি শিরক।




”শোভা যাত্রা” নামকরন এলো কোথা থেকে। ****************** ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চিফ অফিসার রবার্ট ক্লাইভকে খুশি করা ও দূর্গা পূজা। এই শোভা বাজার রাজবাড়ির নামকরনেই শোভা যাত্রা। ====================

ভারতের কলিকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ি ও দূর্গা পূজার উৎসব শুরুর ইতিহাস।

“শোভাবাজার রাজবাড়ি [১][২]: প্রতিষ্ঠাতা রাজা নবকৃষ্ণ দেব (ইং ১৭৩৩-১৭৯৭)। এই বাড়িতে কলকাতা শহরের সবথেকে পুরোনো দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।ইং ১৭৫৭ সালে (পলাশীর যুদ্ধের পরে), ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চিফ অফিসার রবার্ট ক্লাইভ, রাজা নবকৃষ্ণ দেবের বাড়িতে এই দুর্গাপূজা শুরু করেন।”

Comments


2019 by Islamipedia.

  • White Facebook Icon
  • White Instagram Icon
  • White Pinterest Icon
  • White Twitter Icon
  • White YouTube Icon

Join our mailing list

Never miss an update

bottom of page