সূরা আল-বাকারাহের ২২ নং আয়াতের আকাশের ছাদ( ২:২২)

“যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান” (২:২২)। “কি আকাশ কি করে ছাদ হয়? “ << এই রুপ বোকার মত প্রশ্ন তোলা হয়। জ্বীনা আপনারা যেভাবে ভুল বুঝছেন কোরআনের আয়াতগুলি তে ঐ আপনার ঘরের কংক্রিট ছাদ বুঝাচ্ছে না। এখানে ছাদ শব্দটি যে গুনবাচক এটা মাথায় ঢুকছেনা? এই ছাদের কথার পরই মানুষের জন্য ফল- ফসলের কথা বলছেন তথা আমাদের উপকারের কথা বলছেন তাই ঐ ছাদ (canopy) কেও আমাদের কোন উপকারি গঠন কেই বলছেন। জনাব একটু ইংরেজী শেখেন আর নীচে পড়েন আমাদের কে কি ভাবে ছাদ দিয়ে দিয়ে ক্ষতি থেকে রক্ষা করছেন: “এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,” বলতে আল্লাহতায়ালা বলছেন এই আকাশের বিভিন্ন স্তরে এমন কয়েকটি layer করা হয়েছে যা আমাদের পৃথিবীর ও আমাদের জীরনধারন কে সন্ভব করে তুলেছে। (And the heavens your canopy : In this ayat Allah Rabbul Alamin tells us that the atmosphere which is commonly known as the sky acts as a protective and beneficial covering over man’s head. ) আমাদের উপরাংশে অনেকগুলি স্তর বা layer আছে যেগুলি কিছু গ্যাসীয় ও স্থূলাণিুত (ionised) স্তরের সমন্বয়ে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করে চলেছে। (There are several layers in the atmosphere containing a mixture of some gases and an ionised layer enveloping the earth. )

১/ প্রথম স্তরটিকে বলা হয়া হয় ট্রপোসফেয়ার ( Troposphere) যা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮ থেকে ১৬ কিলোমিটার তথা ৫ থেকে ১০ মাইল উপরে। এই layer টি নাইট্রজেন, অক্সিজেন অনুসমহের মিশ্রণ , জলীয় বাষ্প, কার্বনডায়োক্সাইড, গ্যাস ও dust. সামান্য পরিমান জলীয় বাষ্প ও CO2 রাত্রিকালীন পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপকে কম্বলের ন্যায় সংরক্ষন করে রাখে বা ধরে রাখে যেমেন গ্লাস দ্বারা গ্রীন হাউসে তাপ ধরে রাখা হয়। আবার এই স্তরটি পৃথিবী হতে পূনরায় বিকিরিত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে আঁটকিয়ে রাখে। (The first layer is called troposphere and this extends up-to 8-16 km. (5-10 miles) above the earth’s surface. This layer contains nitrogen and oxygen molecules in the proportion of about 4:1 by volume, water vapour, carbondioxide (C02), traces of other gases and dust. The water vapour and a little amount of C02 act as a blanket to conserve the surface heat at night like the glass roof of a green house. This layer prevents long wavelength reradiated by the earth at night to pass through. This is known as the green house effect. )

২/ পরবর্তি layer টি হলো stratosphere যা troposphere স্তর হতে আরও প্রায় ৭০ কিলোমিটার উপর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরটি ওজোন অনুসমুহ দ্বারা পূর্ন ( ozone molecules)। প্রায় ৩০ কিলোমিটার উপর থেকেই এই স্তরটি সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি ও রঞ্জন-রশ্মি থেকে পৃধিবীর সকল প্রানীকে রক্ষা করে। (The next layer in the atmosphere, which extends about 70 km. (44 miles) above the troposphere, is called the stratosphere. In this there is a layer of ozone molecules (03). This ozone layer about 30 km (19 miles) above the, earth protects all living beings from harmful ultra-violet and x-rays coming from the sun.)

৩/ Stratosphere এর প্রায় ৩২০ কিলোমিটার উপরে রয়েছে আরেকটি স্তর যাকে বলা হয় Ionosphere। এই ionosphere short radio তরঙ্গ সমুহ কে বিকরিত করে আমাদের long distance radio যোগাযোগ মাধ্যমকে সাহায্য করে। (There is a special ionised layer of gases called ionosphere extending about. 320 km (200 miles) above the stratosphere. This ionosphere helps us long distance radio communication by reflecting short radio waves. )

৪/ সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানীগন আবিষ্কার করেছেন atmosphere এর উপরে একটি স্তূর রয়েছে যাকে বলা হচ্ছে magnetosphere যে স্তরটি magnetic shield বা ঢাল হিসাবে আমাদের রক্ষা করছে। সূর্য হতে যে ইলেকট্রন ও প্রোটন বিচ্ছুরিত হয় সেগুলি এই স্তরটিতে আঁটকিয়ে যায়। নচেৎ আমাদের গ্রহের back ground রেডিয়েশেন বহুগুণ বৃদ্ধি পেতো যার ফলে বর্তমান সকল প্রানীকূলের মৃত্যু অবধারিত ছিল। Corona হতে নিসৃত পদার্থের ইলেকট্রন ও প্রোটনের তাপমাত্রা হচ্ছে ২০০০০০০০ কেলভিন। Solar wind বহির্এটমোসফেয়ারে যখন পৌঁছায় তখন সেখানের তাপমাত্রা থাকে ১০০০০০ ডিগ্রি কেলভিন। এই magnetosphere সেক্ষেত্রে এই সকল পদার্ধের উচ্চ তাপ ও এর ক্ষতিকর তেজষ্কৃয়তা থেকেআমাদের রক্ষা করে । Corona হচ্ছে সূর্যের উপরি মন্ডল হতে নির্গত charged কনিকাসমুহের প্রবাহিত সৌর বাতাস বা solar wind. (Above the atmosphere scientists have recently discovered a magnetosphere which acts as a protective magnetic shielding. Electrons and protons emitted" from the sun are trapped in this layer. Without this magnetic shielding the background radiation on our planet would have been several times higher killing all life forms as we know them today. Matters in the form of electrons and protons stream away from the corona having temperature 20000000 K. Temperature of the solar wind, as it reaches the outer atmosphere, is about 100,000 degrees Kelvin. The magnetosphere thus protects us from the high temperature of these particles and also from their harmful radiation effect. The limits of the magnetosphere are about 64,000 km (40,000 miles) towards the sun and they extend outward at least 6x105f km (4 milion miles) from the earth’s surface Opposite the sun.) (All these details discussed about the sky and outer atmosphere have come to our knowledge only during this century. These protective and beneficial processes as found in nature speak of Allah’s Infinite Mercy for His creation. Without these man could not have survived on-earth. )

আমাদের জীবন ও পৃথিবীকে বসবাস যোগ্য করে ধরে রাখার যে সুনিপুণ ব্যবস্হা সামগ্রীক বিশ্বে সন্চারমান তা কিছু কিছু আমরা ধীরে ধীরে জানতে পারছি। আল্লাহতায়ালা তাঁর অসিম করুনায় প্রতিদিন আমাদের সিক্ত করছেন সে সকল রহমতের কৃতজ্ঞতা জানাবার ক্ষমতা আমাদের নাই। এখন প্রশ্ন করি হে নাস্তিক সকল তোমরা কি বুঝতে পারছো এই ছাদ বলতে আসলে কি বলা হয়েছে?