বিশ্ব ব্যবস্হায় নাশ্চিক্যবাদের ভয়াল রূপ
- islamipedia1122
- Feb 25, 2019
- 3 min read
============================ নাস্তিকতার সমালোচনা হচ্ছে, নাস্তিকতা চিন্তার সমালোচনা , এর বৈধতা বা নাস্তিকতার প্রভাবসহ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সমালোচনা। সমালোচনার মধ্যে আরও আছে বিজ্ঞান ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে নাস্তিকতার অবস্থান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সমীক্ষা , আস্তিত্ববাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তির পর্যালেচনা, নীতিশাস্ত্র এবং নৈতিকতা সংক্রান্ত আর্গুমেন্ট, ব্যক্তি উপর নাস্তিকতার প্রভাব, বা নাস্তিকতার সমর্থনে অনুমানের পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন সমসাময়িক agnostic যেমন, Carl Sagan ( Conversations with Carl Sagan (Literary Conversations) Paperback – January 5, 2006) এবং আস্তিক, Dinesh D'Souza (Atheism Masquerading As Science) নাস্তিকতার অবৈজ্ঞানিক অবস্হান কে লক্ষ্য করে সমালোচনা করেছেন।
বিশ্লেষণধর্মী দার্শনিক ( Analytic philosopher) Alvin Plantinga,, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে অধ্যাপক , যুক্তি দেন যে আস্তিক্যবাদের আধ্যাত্মিক আর্গুমেন্টের ব্যর্থতার জন্য সংশয়বাদের (Agnosticism) জন্ম দিতে পারে, কিন্তু এই ব্যার্থতার কারনে নাস্তিকতার জন্ম নেওয়ার কোন যৌক্তিক কারন দেখা যায় না ; এবং একটি দৃশ্যত "সূক্ষ্ম- tuned ইউনিভার্স" পর্যবেক্ষন আস্তিকবাদের জন্য যতটা সহজ , এই tuned universe কে খন্ডানো নাস্তিকবাদের জন্য ততটা সহজ নয়।
গণিতের অক্সফোর্ড অধ্যাপক John Lennox বিশ্বাস করেন যে নাস্তিকতাবাদের বিশ্ব চিন্তা আস্তিক্যবাদের বিশ্ব চিন্তা হতে খুবই নিম্নমানের সিদ্ধার্থবাদ যা C.S. Lewis কৃতিত্বের সাথে মর্টনের তত্ত্বের ( merton's thesis) সর্বোত্তম ব্যাখ্যার মাধ্যমে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে ১৬শ শতাব্দি হতে ১৭ শ শতাব্দিতে পশ্চীমইউরোপের মানুষের বিজ্ঞানমনষ্কতার মূল ভিত্তিই ছিল বিশ্বের যাবতীয় সব কিছুই একটি নির্দিষ্ট নিয়মে আর্বতীত হচ্ছে ফলে একটি বিষয়ের উপর সূক্ষ্মতম জ্ঞান অর্জন করতে পারলে সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় গুলি সহজেই নিয়মতান্ত্রীক যৌক্তিক উপায় বুঝতে পারা সম্ভব হয়ে যাবে । এই fine tuned বিশ্ব ব্যবস্হার উপর ভর করেই বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে। ("[b]ecause they expected law in nature, and they expected law in nature because they believed in a lawgiver.' In other words, it was belief in God that was the motor that drove modern science".)
আমেরিকার geneticist , Francis Collins ও Lewis এর এই তাত্বিক বিশ্লেষণ কে সমর্থন করে বলেছেন আস্তিকতাবাদ বিশ্বচিন্তায় নাস্তিকবাদের চাইতে অনেক বেশী যৌক্তিক।
অন্যান্য সমালোচনা নৈতিকতা এবং সামাজিক সংহতির প্রভাবের উপর বেশী ফোকাস দিয়েছেন। The Enlightenment philosopher, Voltaire যিনি একজন যৌক্তিক একেশ্বরবাদী (Deist) ইশ্বরবিহিন ভাবনাকে "সমাজের পবিত্র বন্ধন"এর জন্য খুবই মারাত্মক ব্যাধি হিসাবে বলেছেন, "ঈশ্বরের যদি অস্তিত্ব নাও থাকে তবে তাকে আবিষ্কার করতে হবে"। ( “If God did not exist, it would be necessary to invent him". )।
শাস্ত্রীয় উদারনীতির ( classical liberalism) পিতা, John Locke, বিশ্বাস করতেন যে ঈশ্বরের অস্তিত্বের অস্বীকার সামাজিক ক্রমধারাকে পতিত করে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
১৮শ শতাব্দীর আইরিশ দার্শনিক Edmund Burke, তাঁর রক্ষণশীল ও উদার রাজনৈতিক সঙ্গীদের দ্বারা তাঁর "বিস্তৃত বুদ্ধি" ( "comprehensive intellect") এর জন্য প্রশংসিত হোন । এডমুন্ড বার্ক, ধর্মকে সুশীল সমাজের ভিত্তি হিসেবে দেখেছিলেন এবং লিখেছিলেন যে "মানুষ তার সংবিধান দ্বারা একটি ধর্মীয় প্রাণী, তাই নাস্তিকতা শুধু মাত্র আমাদের নির্মোহ চিন্তার নয় আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি; প্রেরণারও বিরুদ্ধে, সেই জন্য এটা দীর্ঘস্হায়ি থাকতে পারে না" ( "man is by his constitution a religious animal; that atheism is against, not only our reason, but our instincts; and that it cannot prevail long".)
ফরাসি বিপ্লবের হিংসাত্মক আবস্হানকে নাস্তিকতার সমর্থন, পরবর্তীতে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী নাস্তিকতার জঙ্গিবাদ এবং ২০ শতকে গঠিত সমগ্রতাবাদী( authoritarian) রাজ্যগুলিতে নাস্তিকতার উত্থান নিঃসন্দেহে নাস্তিকতার সর্বগ্রাসী কৎসিত রুপ বিশ্ব পরিসরে দগদগে ঘায়ের মতো বিরাজ করছে।
ফ্রান্সে বিপ্লবের উপর প্রতিক্রিয়ায় , Burke "নাস্তিক কট্টরপন্থী"( "atheistical fanaticism") বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। ১৯৩৭ সালেই পোপাল এনসাইক্লোপিক ডিভিনি রেডডমোরিস ( papal encyclical Divini Redemptoris) সোভিয়েত ইউনিয়নের জোসেফ স্ট্যালিনের নিরীশ্বরবাদকে নিন্দা করেন, যেই স্ট্যালিনের নিরেশ্বেরবাদের চরম কষাঘাতে পূর্ব ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য মাও জেদংএর চীন, কিমের উত্তর কোরিয়া এবং পোল পটের কম্বোডিয়া ইতিহাসের কালো অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে।

বিংশ শতাব্দীর নাস্তিক্যবাদের রাষ্ট্রীয় জুলুম নাস্তিক্যবাদের বিশ্বায়নের ক্ষেত্রকে কলুষিত করে দিয়েছে যেই কারনে কেহ কেহ ব্যাক্তি জীবনে ধর্মাচারে শৈথিল্য দেখালেও নাস্তিক্যবাদী বৈশ্বিক ভাবনা থেকে দূরেই অবস্হান করে।নাস্তিক্যভাবনার বিরুদ্ধে কবি, ঔপন্যাসিক ও তাত্ত্বিকগন রয়েছেন তাদের সকলেই G. K. Chesterton এর মতামতকে সমর্থন করে,চেস্টারন বলেছেন যে "[ঈ] ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে সে সব কিছু বিশ্বাস করিবে"( "[h]e who does not believe in God will believe in anything".) অর্থাৎ তার কাছে ন্যায় , অন্যায় বলে কিছু নাই।
Comments